Tuesday, December 1st, 2015




টাকা ফেরত দিলেন এএসআই

 

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় এমরান আলী ওরফে লেবু নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া ১০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুমন মিয়া। গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর পর গতকাল সোমবার রাতে জুড়ী থানায় ডেকে এনে এমরানকে টাকা ফেরত দেন তিনি।আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হামিদুর রহমান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘এএসআই সুমন সব টাকা এমরানকে ফেরত দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কাজ না করতে তাঁকে (সুমন) সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’

এমরান বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে ঘটনাটি জেনে সোমবার রাত নয়টার দিকে জুড়ী থানার ওসি হামিদুর রহমান সিদ্দিকী তাঁকে থানায় ডেকে নেন। একপর্যায়ে এএসআই সুমন তাঁর হাতে ১০ হাজার টাকা ফেরত দেন। এ সময় ওসি এএসআই সুমনকে ভর্ৎসনাও করেন। এমরানের বাড়ি উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের উত্তর বড়ডহর গ্রামে। তিনি ওই ইউনিয়নের আনসার ও ভিডিপি বাহিনীর লিডার। এমরান আলী বলেন, গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জুড়ী থানার এএসআই সুমন মিয়ার নেতৃত্বে তিন-চার জন পুলিশ তাঁর বাড়িতে যান। পুলিশের পরিচয় দেওয়ার পর তিনি দরজা খুলে দেন। এ সময় এএসআই সুমন তাঁর (এমরান) নাম লেবু কি না জিজ্ঞেস করেন। এমরান বলেন, তাঁর মূল নাম এমরান হলেও ছোটবেলা পরিবারের লোকজন তাঁকে লেবু নামে ডাকতেন। এ কথা বলার পর এএসআই সুমন এমরানকে জানান, তাঁর বিরুদ্ধে বন বিভাগের করা একটি মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। এ কথা শুনে তিনি অবাক হয়ে যান। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে তিনি এএসআই সুমনকে আসামির বাবার নাম জানতে চান। তখন সুমন কোনো কথা না শুনে তাঁকে ধমক দিয়ে চুপ থাকতে বলেন। একপর্যায়ে সুমন তাঁকে বলেন, ১০ হাজার টাকা দিলে গ্রেপ্তার করা হবে না। গ্রেপ্তার এড়াতে এমরান প্রতিবেশী দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ধার করে সুমনের দাবি মেটান। টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় সুমন এমরানকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেওয়ার পরামর্শ দেন। এমরান বলেন, গতকাল সোমবার সকালে তিনি মৌলভীবাজারে সংশ্লিষ্ট আদালতে যান। সেখানে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, এএসআই সুমন যে মামলার কথা বলেছেন, সে মামলার আসামি তিনি নন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়নি। বরং ওই মামলার আসামি হলেন, সাগরনাল ইউনিয়নের উত্তর বড়ডহর গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে লেবু মিয়া। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category